নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ মহামারী করোনা ভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী চার হাজার ৬০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাড়। এরমধ্যে এক হাজার ৫০৪ জন আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ্য হয়েছেন। ছয় জেলায় মোট ৮৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রের পাওয়া তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ১১৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা ও পিরোজপুর জেলার ৪২ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এছাড়াও বিভাগের বরিশাল জেলায় ৩১ জন, পটুয়াখালীতে ২৫ জন, ঝালকাঠিতে ১১ জন, পিরোজপুরে ছয়জন, বরগুনায় পাঁচজন ও ভোলায় পাঁচজনসহ মোট ৮৩ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করেছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ বাসুদেব কুমার দাস জানান, বরিশাল জেলায় এ পর্যন্ত ১৮৯৮ জন, পটুয়াখালীতে ৬৭৫ জন, ভোলায় ৩৮৮ জন, পিরোজপুরে ৩৮৯ জন, বরগুনায় ৩৮৩ জন ও ঝালকাঠিতে ৩২৭ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে বিভাগের ছয় জেলায় ১৫০৪ জন করোনা পজেটিভ রোগী সুস্থ হয়েছেন। যাদেরকে ইতিমধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
বরিশালের গৌরনদীতে তিন ডায়াগনষ্টিক সেন্টার লকডাউন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসক মোঃ মাহাবুব আলম মীর্জার করোনা ভাইরাস পজেটিভ হওয়ায় তিনটি ডায়াগনেষ্টিক সেন্টার, একটি ঔষধের ফার্মেসী ও আবাসিক ভবন লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান স্বাক্ষরিত লকডাউন সম্পর্কিত বিশেষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, শেরই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের চিকিৎসক মোঃ মাহাবুব আলম গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডের এবি সিদ্দিক, আশোকাঠী হাসপাতাল সংলগ্ন আল আরব ও হোসনাবাদের জনপ্রিয় ডায়াগনেষ্টিক সেন্টার এবং টরকী বন্দরের হারুন হাওলাদারের ফার্মেসীতে বসে রোগী দেখতেন। এছাড়াও উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন ভোলা সাহার ভবনে বসবাস করে আসছেন। শনিবার তার করোনা ভাইরাস পজেটিভ হওয়ায় তিনটি ডায়াগনেষ্টিক সেন্টার, একটি ঔষধের ফার্মেসী ও আবাসিক ভবন লকডাউন ঘোষনা করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে লকডাউনকৃত এলাকায় আগমন ও বহির্গমন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
Leave a Reply